নেপাল বলতে আমরা বুঝি হিমালয় এর কোলে এক অপার্থিব আনন্দের আর সৌন্দর্যয়ের দেশ। দুর্গমতার ভয় আর অজানার আশঙ্কা যদি মনে গাঁথা থাকে তাহলে বলবো এখনই তা মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে। আমাদের প্রতিবেশি এই দেশ একটি “ওপেন কান্ট্রি” আপনার সচিত্র পরিচয় পত্রই যথেষ্ট এই মায়াবী রূপসীকে দুই হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখার জন্য।

দুর্গমতার ভয় আর অজানার আশঙ্কা যদি মনে গাঁথা থাকে তাহলে বলবো এখনই তা মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে। আমাদের প্রতিবেশি এই দেশ একটি “ওপেন কান্ট্রি” আপনার সচিত্র পরিচয় পত্রই যথেষ্ট এই মায়াবী রূপসীকে দুই হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখার জন্য। পকেট এর কথা বললেও মনে করিয়ে দি নেপালের মুদ্রা (Nepal Currency) আমাদের INR থেকে অনেক সস্তা, আমাদের ১০০টাকা নেপালের ১৬০রুপির সমান। এছাড়া গত ভূমিকম্পের পর নেপাল সরকার পর্যটণ-এ দিচ্ছে বিপুল ছাড়। যার ফলে খুব কম বাজেটে ঘুরে আসতে পারেন স্বপ্নের দেশ থেকে।

কিভাবে যাবেন?
৪-৬ জনের গ্রূপ বানিয়ে, বাজেট ট্যুর করতে চাইলে সব থেকে ভালো উপায় গোরখপুর হয়ে নেপাল যাওয়া, কলকাতা স্টেশন থেকে উঠে পড়ুন বাঘ এক্সপ্রেস বা পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসে । পরেরদিন পৌঁছে যাবেন সকাল ১২টার ভিতর, সারাদিন সময় রইল ট্যুর প্রস্তুতি, প্রয়োজনীয় বিশ্রাম আর বিখ্যাত গোরক্ষনাথ মন্দির দেখে নেওয়ার ।
স্থানীয় ট্যুর অপারেটর রা বিশ্বাসী, ৭ দিনের ট্যুর প্যাকেজ খরচ পরবে ৪-৬ জনের মোট ২০ হাজার টাকার মত (খাওয়া খরচ বাদে) । তার মানে ৬ জনের নেপাল ভ্রমন + sightseeing (গোরক্ষপুর-নেপাল-গোরক্ষপুর) এবং নেপালে থাকার হোটেল খরচ মিলে মাত্র মাথাপিছু ৩,৫০০- ৪,০০০/- টাকা!! যোগাযোগ করতে পারেন স্থানীয় ট্যুর গাইড এবং অপারেটর~ রঞ্জিত গুপ্তা ওরফে আপ্পূ রাজা কে~ মোবাইল ~ ৯৪১৫৩৩২৭৮৫/ ৯৬২১১৩০৫৫১ বা ( +০৭৭৯৮০৬৫৩৩৪৩২ নেপাল এর নম্বর)
আর হ্যাঁ, নেপালে আমাদের দেশের সিম কাজ করতে নাও পারে, তাই আপ্পূ ভাই দের থেকে নিয়ে নিন একটি নেপালি সিম কার্ড।
গোরখপুর থেকে ইনোভা / স্করপিও তে ১০০ কিমি দূরে নেপাল বর্ডার যা সনৌলি বলে পরিচিত, উলটোদিকেই সিদ্ধার্থনগর বা Bhairahawa (এই নামটি এসেছে ভৈরব থেকে) এখানে এলেই আপনাকে মনে করিয়ে দেওয়া হবে নেপাল কিন্তু একটি হিন্দু রাষ্ট্র.
সেখানে আপনার ড্রাইভার বানিয়ে নেবেন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আর হ্যাঁ গরম কাপড় নিশ্চই সঙ্গে নেবেন, ভুলে গেলে বর্ডার পার হওয়ারসময় ভাইরাওয়া মার্কেট থেকে নিতে পারেন, এই মার্কেট নানান ইলেক্ট্রনিক্স গ্যাজেট , ক্যামেরা, ছাতা, পোশাক বেশ সস্তা~ অবস্যই দরদাম করুন
তার পরেই রওনা হয়ে যান মাত্র ২২কিমি দূরের প্রথম দ্রষ্টব্য স্থান।
লুম্বিনি

লুম্বিনি নেপালের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি। তীর্থ যাত্রীদের স্থান হচ্ছে লুম্বিনি (Lumbini), কারণ এটাই সিদ্ধারত গৌতম বা বৌদ্ধের জন্মস্থান। এটি নেপালের দক্ষিন পশিমাঞ্চলের একটি ছোট্ট শহর। প্রত্নতাত্ত্বিক ভাবে এটি ৫৫০ খ্রিষ্ট পূর্বের নিদর্শন বহন করছে। এই পৌরাণিক স্থানটি জ্ঞানী, বিজ্ঞানী এবং কৌতূহলী দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।
বুদ্ধের মাতা মায়া দেবী বাগানের একটি গাছের কাছে বৌদ্ধের জন্ম দিয়েছিলেন। সেখানে তার নামে একটি মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। জাপানিজ আর্কিটেক্ট কেঞ্জু টাংজি এটির নকশা করেছেন। একটি ছোট পার্কের মাঝখানে এটি স্থাপন করা হয়েছে।

এখানে রয়েছে পুকুর যেখানে বৌদ্ধকে প্রথম স্নান করানো হয়, অশোকা পিলার, মায়াদেবীর প্রাচীন মূর্তি, বৌদ্ধ মন্দির, থাই মনেস্ট্রিসহ সবুজ ঘাসে-ছাওয়া প্রান্তর। এখানে প্রতিদিনই বৌদ্ধধর্মের অনুসারীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। বর্তমানে লুম্বিনিতে বিভিন্ন দেশের শিল্পকলা ও সংস্কৃতির চিত্র তুলে ধরা হয়। এখানে ধর্মীয় অনুসারীদের থাকার জন্য মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে।
লুম্বিনি দেখা সেরে বুদ্ধের ভাবনায় মগ্ন আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে নিমজ্জিত হয়ে চলুন আগামী গন্তব্য –
পোখরা
পোখরা নেপালের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ শহর যা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ২০০ কিমি পশ্চিমে অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর পোখরা শহরকে “নেপালের ভূস্বর্গ” ও “নেপাল রানী” বলা হয়। নেপাল পর্যটন বিভাগের একটি শ্লোগান আছে,” তোমার নেপাল দেখা পূর্ণ হবে না, যদি না তুমি পোখরা দেখ।” পোখরা থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম (১৪০কিলোমিটার) সারিবদ্ধ হিমালয় পাহাড়ের সারি দেখা যায়। পোখরাকে,”মাউন্টেন ভিউ” – এর শহরও বলা হয়। এখান থেকে ‘অন্নপূর্ণা’ ও মাছের লেজের মতো দেখতে মচ্ছ পুছরে (৬,৯৭৭ মিটার) পর্বতশৃঙ্গ দেখা যায়, যা বিশ্বখ্যাত চারটি পর্বতশৃঙ্গের একটি। এই পোখরাতেই (Pokhara) আছে অনেক দর্শনীয় স্থান।

আকাশ পরিষ্কার থাকলে এখান থেকে অন্নপূর্ণা রেঞ্জ খুব সুন্দর দেখা যায়। পোখরা থেকে গাড়িতে কুরিন্তার পৌঁছে কেবলকারে মনোকামনা দেবীর মন্দির দর্শন করা যায়।
পোখরার দর্শনীয় স্থানগুলোঃ
ফেওয়া লেক –

এটি নেপালের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক লেকের একটি। দৈর্ঘে ৪ কিলোমিটার এবং প্রস্থে ১.৫ কিলোমিটার। প্রথমটির নাম “রারা লেক” যা নেপালের পশ্চিমের মুগু জেলার দুর্গম অঞ্চলে অবস্থিত। ফেওয়া বা ফিউয়া লেকটি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এবং আদর্শ বিনোদন কেন্দ্র। রঙ বেরঙের নৌকা ভাড়ায় পাওয়া যায়, প্যাডেল বোট ও পালতোলা নৌকাও পাওয়া যায়। সময় হিসেব করে ভাড়া মেটাতে হয়। লেকের প্রবেশ পথেই টিকেটের ব্যবস্থা রয়েছে। ভিনদেশী পর্যটকদের চেয়ে সার্কভুক্ত দেশের জন্য টিকেটের দাম অনেক কম রাখা হয়। লেকের মাঝে একটি মন্দীর আছে, নাম “বারাহি হিন্দু মন্দির”। নৌকা নিয়ে বেড়াতে ভীষণ ভাল লাগে।
ডেভিস ফল –
ফেওয়া লেকের জল থেকেই উৎপন্ন ডেভিস ফল। বর্ষাকালে যখন প্রচুর জল উপর থেকে পড়ে, বাস্পের মত জলকণা ছড়িয়ে যেতে থাকে বা বাতাসে তা উড়তে থাকে, সূর্য্যের আলোতে তখন রামধনু তৈরি হয়। সে এক অসাধারণ অনুভূতি!!! মোহনীয় পরিবেশ!!!

মহেন্দ্র গুহা –

ডেভিস ফল-এর বিপরীতে চুনা পাথরের গুহাটিকে মহেন্দ্র গুহা বলে। এই গুহাটি মৃত রাজা মহেন্দ্র বীর বিক্রম শাহাদেব-এর নামে, নামকরণ করা হয়। এর ভিতরে ছোট ছোট স্বল্প পাওয়ারের বাল্ব লাগানো আছে। ভিতরে ঢুকতে একজন গাইড এবং জনপ্রতি একটি করে টর্চের প্রয়োজন হয়। মহাদেবের মুর্তি পূজিত হন এই গুহার গভীরে । সেখানে একজন পুরোহিতও আছেন। ভিতরে পায়ের নিচে বড় বড় পাথর, স্বল্প আলো, হাতে টর্চ, সাথে গাইড, গা ছমছম পরিবেশ, অবশ্যি নতুন অভিজ্ঞতা হবে! আরো কিছু দূরে আরেকটি গুহা আছে, যার নাম “চামেরি গুহা”। এর ভিতরে প্রচুর বাদুরও আছে।
শরনকোট –

পোখরার শরনকোট (Shoronkot) পর্যটকদের কাছে সব চেয়ে আকর্ষণীয় ভিউ পয়েন্ট, যেখান থেকে পর্বতমালার অপূর্ব দৃশ্য, পোখরা ভ্যালী ও ফিউয়া লেক দেখা যায়। শরনকোট পোখরা থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে, সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৫৯২ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এখানে পর্যটকেরা মূলত আসে পর্বতশৃঙ্গে সূর্য্যের প্রথম আলোর বর্ণালী দেখতে। একদিকে নতুন সুর্য্য, আরেকদিকে অন্নপূর্ণা, ফিস টেইল। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য!!
ইন্টারন্যাশনাল মাউন্টেন মিউজিয়াম –

পোখরা শহরের কেন্দ্রস্থলে, বিমানবন্দর থেকে ১.৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এই মিউজিয়ামটি অবস্থিত। এখানকার অন্যতম বৈশিষ্ট হলো, এখান থেকে তিনটি পর্বতশৃঙ্গ দেখা যায়। যার নাম, ধওলাগীরি, অন্নপূর্ণা ও মানাস্লু। এই মিউজিয়ামের প্রধান বৈশিষ্ট হলো, এতে পর্বতারোহনের কলা কৌশল, বিশ্বব্যাপি প্রধান পর্বতমালার তথ্য সমূহ, পর্বতমালার ভৌগলিক অবস্থান, বিশ্বব্যাপি পর্বতারোহীদের ব্যবহৃত সরঞ্জামাদী, পোশাক-আশাক এবং আরোহনের ইতিহাস প্রদর্শন করা আছে।
গুরখা মেমোরিয়াল মিউজিয়াম –
এই মিউজিয়ামটিও পোখরা শহরেই অবস্থিত। এখানে বিশ্ববিখ্যাত গুরখা সৈন্যদের যুদ্ধজয়ের কাহিনী, পোশাক, ব্যাচ, ব্যবহৃত অস্ত্র, অন্যান্য সরঞ্জামাদি বর্ণনা সহ প্রদর্শণ করা আছে। গুরখাদের আদীবাস পোখরার কাছেই যা বর্তমানে গুরখা ল্যান্ড নামেই পরিচিত।

তিব্বতিয়ান বুদ্ধীজম মোনাষ্ট্রী –
পোখরার শহরতলীতে, বিমানবন্দর থেকে চার কিলোমিটার দূরে শ্বেতি নদির পাশে অবস্থিত। এটি বৌদ্ধদের একটি উপাসনালয়।

ভোজন রসিক ছাড়া বাঙালি পর্যটক বড্ড বেমানান, তাই একটু খাওয়া-দাওয়ার কথা বলে নেওয়া যাক
নেপালে খাবারের ব্যবস্থা
নেপালে খাবারের স্বাদ বেশ। ভাত বা রুটি যাই খান প্রথমেই পরিবেশিত হবে পাঁপড়। সঙ্গে থাকবে ঝাল চাটনি। ভাত, সবজি ও ডাল পাবেন। সাধারণ রেস্টুরেন্ট বা একেবারে রোডসাইড ধাবাতেও পাবেন মুখরোচক খাবার। ভাত, তরকারি সব কিছুর সঙ্গেই মিলবে পাঁপড় ও চাটনি।
ডাল-ভাত নেপালের বিখ্যাত খাবার। ডাল রাঁধা হয় মশলা দিয়ে, খেতে দারুন মজা। মাংস ও মাছ খেতে চাইলে ড্রাইভার ভাই কে জিজ্ঞেস করলেই বাতলে দেবে। নেপালে তিব্বতি খাবারের অনেক রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এখানে মোমো, থুকপা পাওয়া যায়। অবশ্যই চিকেন আর পোর্ক ট্রাই করুন।
ভারতীয় রেস্টুরেন্ট যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে কেএফসি এবং পিৎজা হাটের মতো চেইন ফুড শপ। নেপালি ভাষার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ হিন্দি বোঝে। আপনি যদি কাজ চালানোর মতো হিন্দি বলতে পারেন তাহলে কোনো সমস্যা নেই। একটু ভালো শপিং সেন্টারে ও হোটেলে ইংরেজি বোঝে। খাবার এর মেনুতে দাম লেখা থাকে নেপাল কারেন্সি তে, ভারতীয় মুদ্রাএ হিসেব করে দেখলে দেখবেন বেশ পকেট-ফ্রেন্ডলিও।
পোখরায় একদিন কাটিয়ে পরের গন্তব্য জমসম, সেখানেও কাটানো হবে একরাত-
জমসম
জমসম শহরটি নেপালের মুস্টাং জেলায় অবস্থিত যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৭৬০ মিটার উচ্চতায় এবং কালী গান্ধাকী নদীর তীরে অবস্থিত। এই শহরটি খুব জনপ্রিয় ট্রেকিং করার জন্যে। কালী গান্ধাকী নদীর তীর ধরে ট্রেক করে মুক্তিনাথ মন্দির পর্যন্ত যা জমসম-মুক্তিনাথ ট্রেক নামে পরিচিত। অন্নপুর্না সার্কিট ট্রেক এর অংশ হিসেবে এই ট্রেক করা যায়।

বলা হয় নেপালের সর্বোচ্চ তুষারপাতের শহর এটি। হিমালয়ের একদম কাছে হওয়ায় এমনটি ধারনা করা হয়ে থাকে।এখানকার মানুষ খুবই অতিথিপরায়ণ। কমবেশি সবাই কাজ চালানোর জন্য যতটুকু দরকার হিন্দি ইংরেজি বলতে পারে।
দর্শনীয়স্থান
জমসমের কাছাকাছি দর্শনীয়স্থান গুলোঅবশ্যই ঘুরে দেখবেন –
মুক্তিনাথ টেম্পল

ধাম্বা লেক

ইয়াক খারকা

কালী গান্ধাকী নদী

মুস্টাং আপেল বাগান

ডিয়ার হিল, মুস্টাং
পরেরদিন পৌঁছে যান কাঠমান্ডূ, দুইদিন সেখানে থেকে সেরেনিন আশেপাশের সাইট-সিয়িং গুলি। আর উপভোগ করুন কাঠমান্ডূর আধুনিকতা, বিলাসবহুল শহর আপনাকে বুঝিয়ে দেবে এর আভিজাত্য।

এই শহরের নাইট লাইফ ভীষণ আধুনিক, সারা বছর মনে হয় এখানে কোনও উৎসব চলছে
রেস্টুরেন্টে ট্রাই করুন স্টেক- স্পেগেটি বা যেকোনো বিদেশি পদ।
ঢুঁ মারতেই পারেন কনও নাইটক্লাব বা ক্যাসিনোতে

kathmandu কে ঘিরে রয়েছে বেশ কয়েকটি জায়গা, প্যাকেজ এ সেই সাইট-সিয়িং ও থাকে
ভক্তপুর
প্রাচীন রাজাদের আবাসস্থল ছিল ভক্তপুর। ভক্তপুর শহরের অবস্থান কাঠমান্ডু থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে। এটি ছিলো প্রাচীন নেপালের রাজধানী। নেপাল এর ঐতিহ্যবাহী ভক্তপুর কে স্থানীয়রা বুদগাঁও নামে চেনে। আর একটা নাম ছিলো এর খৌপা।

কাঠমুন্ডু থেকে ৩২ কি.মি. পূর্বে নাগরকোটের অবস্থান। ভক্তপুরের সবচেয়ে নৈসর্গিক স্থান এটি। যেখান থেকে হিমালয়ের জমকালো সূর্যোদয় দেখা যায়। পর্যটকরা কাঠমুন্ডু থেকে গিয়ে নাগরকোটে রাত্রি যাপন করে সূর্যোদয় দেখার জন্য।নাগরকোট গ্রামের বৈশিষ্ট্য হলো পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু স্থানে এটি অবস্থিত। পৃথিবীর অন্যান্য গ্রামে বসবাসকারী মানুষজন যেখানে মাঠ থেকে আকাশকে দেখে। সেখানে নাগরকোটের বাসিন্দারা নিচে তাকিয়ে আকাশ দেখে। ঠিক যেন স্বর্গের অপার সৌন্দর্য অনুভব করার মতো অবস্থা। এভারেস্ট ছাড়াও বেশ কয়েকটি চূড়া এখান থেকে দেখা যায়। এর মধ্যে লাংটাং, মানাসলু, গৌরীশংকর অন্যতম।
কেনাকাটা

পশমিনা, কাঠের কাজ, পাথরের চুড়ি, মালা, কানের দুল, ইয়াকের হাড়ের জিনিসপত্র, নানা সাইজের, নানা ভঙ্গিমার বরাভয় মুদ্রায় গৌতম বুদ্ধের মূর্তি, নেপালি কুকরী সবই আছে এখানে।

এছাড়াও ঘুরে দেখেনিন

kathmandu থেকে ফেরার পথে গাড়ি ঘুরে আসবে চিতওয়ান হয়ে, এটি নেপাল এর প্রধান জঙ্গল, এখানে জঙ্গল দেখে নিন হাতির পিঠে চড়ে , তবে এই সাফারির খরচ ট্যুর প্যাকেজে “ইনক্লুডেড” নয়।

এই জঙ্গলে গন্ডার, হরিন, সম্বর, বাইসন এর পাশাপাশি লেপার্ড ও বাঘ ও থাকে। ক্যামেরা অবশ্যই রেডি রাখবেন।
তাহলে আর দেরি করে কি লাভ? সবথেকে উপযুক্ত সময় নভেম্বর – মার্চ। নিয়ে ফেলুন একটু ৭-১০ দিনের ছুটি, মাথাপিছু মাত্র ৩৫০০-৪০০০/- টাকায় ঘুরে ফেলুন একটা গোটা দেশ।
সারাক্ষণ আপনার সাথে থাকবে গাড়ি আর অভিজ্ঞ্য ড্রাইভার কাম গাইড, বিশ্বাস না হলে বা আরও বিশদে জানতে কল করুন আপ্পূ রাজাকে (নম্বর আগেই দিয়েছি )