মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দেশ হয়ে উঠলো? 

আমেরিকান ড্রিম

বাক্যটা দারুণ কিন্তু। এই বাক্যের মধ্যে আগামীকাল শব্দটার একটা ছায়া পাওয়া যায়। সারা পৃথিবীর অন্যসব দেশ তার ইতিহাস আর বর্তমান নিয়ে খুব খুশি থাকে, যেখানে আমেরিকার সংস্কৃতি আগামীকাল মুখি। একটু খেয়াল করলেই দেখা যায়, ভারতবর্ষের বিভিন্ন দেশ কিংবা চীন বা এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলো অতীতে “এই ছিল, সেই ছিল” বলে গর্ব করে। আমেরিকার অতীত বেশি পুরোনো নয়, ১৭৭৬ সাল কিংবা ১৬২০ বা ১৪৯২ সালে থেকে তাদের ইতিহাস শুরু। যেহেতু অতীত নেই, তাই ভবিষ্যতটা তাদের ধরে নিয়েই আমেরিকার এগিয়ে চলা।

ল্যান্ড অব অপরচুনিটি

আমেরিকা ও ইউরোপের কিছু দেশ বাদে বাকি দেশ ও সংস্কৃতিতে “যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ” ধরণের একটা প্রবাদ চালু আছে। প্রতিটি প্রবাদ সেই সমাজ বা সভ্যতার মনস্তত্বকে প্রকাশ করে। আমেরিকার যেহেতু অতীত বলে কিছু ছিল না, তাই সামনের দিনগুলোই তাদের জন্য ভালো মনে করে এগিয়ে গেছে তারা।

বিজ্ঞান ও গবেষণায় অর্থ বিনিয়োগ

১৫০০ শতকের ইউরোপে অনেক অর্থ বিনিয়োগ হতো নতুন নতুন ভূখন্ড আবিষ্কারের জন্য। যে কারণে এশিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকা ও ওশেনিয়াতে ইউরোপের ভাস্কো দা গামা, কলম্বাস ও জেমস কুকদের পা পড়ে। ১৮০০ শতক থেকেই বিজ্ঞান ও গবেষণায় আমেরিকায় অর্থ বিনিয়োগের প্রবণতা দেখা যায়।

আমেরিকানদের বিশ্বরাজনীতিতে ডেকে আনা

আমেরিকা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই আমেরিকা প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে নিজের ভূখন্ড বাড়ানোর চেষ্টা করে। শুরুতে আমেরিকার ১৩টি অঙ্গরাজ্য ছিল, সেটা ধীরে ধীরে ৫০ এ পা রাখে। আমেরিকানরা নিজেদের বড় করতে করতে বিশ্বরাজনীতিতে তাদের ডাক পরে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে আমেরিকানদের বিশ্বরাজনীতিতে প্রভাব বেড়ে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত আমেরিকার যুদ্ধে অংশগ্রহণ ছিল না। পার্ল হারবারের ঘটনা না ঘটলে যুদ্ধে আমেরিকার অংশগ্রহণ থাকতো কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here