মার্কিন ভিসা পেতে আবেদনকারীকে সোশাল মিডিয়ায় তথ্য দিতে হবে:

যুক্তরাষ্ট্রে  প্রশাসন বলেছে – যারা আমেরিকার ভিসা পেতে চান তাদের প্রায় প্রত্যেকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা কি করছেন তার তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করতে চান। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

এর ফলে, মার্কিন ভিসার আবেদনকারীদের প্রায় সবাইকে তাদের ফেসবুক এবং টুইটার একাউন্টের বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে।

ভিসার আবেদনের আগেকার পাঁচ বছরে তাদের সোশাল মিডিয়ায় কি পরিচিতি ছিল – তার সকল তথ্য জানাতে হবে আবেদনকারীকে।

যারা ইমিগ্র্যান্ট এবং নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা চান – তাদের সম্পর্কে তথ্য যাচাই বাছাই করার জন্য এই তথ্য ব্যবহৃত হবে। তাদেরকে আরো দিতে হবে গত পাঁচ বছরের সব টেলিফোন নাম্বার, ইমেইল ঠিকানা এবং ভ্রমণের ইতিহাস। আবেদনকারীদের জানাতে হবে যে তারা আগে কোন দেশ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন কিনা।

এ ছাড়া আবেদনকারীর কোন আত্মীয় সন্ত্রাসবাদী কাজে জড়িত ছিলেন কিনা তাও জানাতে হবে।

যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স এবং জার্মানির নাগরিকদের – যারা যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা মুক্ত ভ্রমণ সুবিধা পান – তাদের ওপর এ প্রস্তাবের কোন প্রভাব পড়বে না। কিন্তু ভারত, চীন বা মেক্সিকোর মতো দেশের ভ্রমণার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন।

ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০১৫ সালে সেন্ট বার্নাডিনোতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ১৪ জন নিহত হবার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নজরদারি শুরু হয়। কারণ কর্তৃপক্ষ তখন বলেছিল যে মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে আক্রমণকারীদের উগ্রপন্থায় দীক্ষিত হবার আভাস ছিল, কিন্তু তারা তা চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।

এর পর গত মে মাসে নিয়ম করা হয় যে কর্মকর্তারা প্রয়োজনে কারো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্মকান্ড পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here